নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পূর্ণিমা তিথির প্রভাবে জোয়ারের পানি কমতে শুরু করেছে। নতুন করে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত না হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে দ্বীপবাসীর মাঝে।

শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে জোয়ারের পানি কমতে শুরু করেছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম।

তিনি বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জোয়ারে তলিয়ে গেছে বেড়িবাঁধের বাইরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিকেল ৩টা থেকে জোয়ারের পানি কমতে শুরু করেছে। আশার কথা হলো, আগামীকাল (শনিবার) থেকে পানি স্বাভাবিক উচ্চতায় চলে আসবে।

স্থানীয়রা জানায়, ৬ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ারের প্রভাবে হাতিয়ায় নদীর পানি ৩-৪ ফুট বেড়ে যায়। এতে উপজেলার সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর, চরকিং, হরনী, চানন্দী, নিঝুমদ্বীপ, জাহাজমারা, বুড়িরচর, সোনাদিয়া ও তমরদ্দি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ৩০ হাজার বাসিন্দা।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিনাজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জোয়ারের কয়েক ঘণ্টা পর আবার পানি নেমে গেছে। এখন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

হাতিয়ার আফাজিয়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ৪ দিন ধরে আফাজিয়া বাজার এলাকা জোয়ারের পানিতে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। এতে সকল প্রকার যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। শুক্রবার বিকেল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

হরণী ইউনিয়নের চতলাখাল পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, মেঘনা নদীর জোয়ারের বাড়তি পানির ফলে এলাকার কৃষি জমির ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জোয়ারের পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা খোঁজ রাখছি কোথাও কোনো ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর