হাছনা বেগমের বিধবা ভাতার কার্ড হয়েছিল ২০১৫ সালের জুলাইয়ে। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি সর্বশেষ ভাতার টাকা তুলেছিলেন। পরের বার টাকা তুলতে গেলে তাকে জানানো হয়, তিনি মৃত! সেই থেকে নির্বাচন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ প্রভাবশালীদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন হতদরিদ্র হাছনা বেগম।

হাছনা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত তহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তার দেওয়া তথ্য মতে, বিধবা ভাতার ৩২২৮ নম্বর বইয়ের সুবিধাভোগী ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোনালী ব্যাংকের ৮৬৩ হিসাব নম্বরে সরকার প্রদত্ত বিধবা ভাতা পেয়েছিলেন হাছনা বেগম। পরে ব্যাংকে, ইউপি মেম্বারের কাছে জানতে পারেন তিনি মৃত! এরপর থেকে বিভিন্ন জনের কাছে গিয়েও সুরাহা পাননি হাছনা বেগম।

হাছনা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাইষের বাড়িত কাজ করি ভাত খাও মুই। মেলা দিন থাকি মোর বিদুয়া ভাতার কার্ড বন্ধ হয়া আছে। জলজ্যান্ত মানুষটাক মরা বানে থুইচে। এলা মুই টাকা পাইম কদ্দিন? তোমরা কিছু করো বাবা।

বালাগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম রব্বানী জানান, হাছনা বেগম নিজেকে মৃত জানার পর সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন। এরপর আর খোঁজ নেওয়া হয়নি।

জলঢাকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকতা উজ্জ্বল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি জানার পর দুই বার জেলা কর্মকতাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। শিগগিরই তার (হাছনা বেগম) জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন হলে তিনি সমস্ত বকেয়া টাকা পাবেন।

মাহমুদ আল হাসান রাফিন/এসপি