আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় মেয়র এবং কাউন্সিল প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিচ্ছেন নানা রকম প্রতিশ্রুতি। তবে ব্যতিক্রম প্রচারণার কারণে ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ।

দেবীগঞ্জ পৌরসভার অলিগলিতে হ্যান্ড মাইক আর লিফলেট নিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন যাকারিয়া। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সমবেত জনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন এবং ইস্ত্রি প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন। নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে নিজের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে ভোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন নিজের লিফলেট। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেবীগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ও গলিতে এমন প্রচারণার দৃশ্য দেখা যায়। 

জানা গেছে, দেবীগঞ্জ পৌরসভার সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী যাকারিয়ার এমন প্রচারণাকে ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছেন এলাকার ভোটাররা। কোনো দলীয় টিকিট ছাড়াই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে তার এমন প্রচারণায় বাহবা দিচ্ছেন অনেকেই। তারুণ্য সাহস ও জনগণের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে অনেকেই মুগ্ধ হচ্ছেন।

পৌরসভার সাধারণ ভোটাররা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রচারণার ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। যাকারিয়ার সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে সহজেই যেকোনো জায়গায় সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছেন। 

মকবুল হোসেন নামে এক বৃদ্ধ ভোটার বলেন, যাকারিয়ার কথা শুনে খুব ভালো লাগছে। তার মতো তরুণ যদি মেয়র হিসেবে আমাদের দেবীগঞ্জে আসে তাহলে আমাদের অনেক দিনের কষ্ট দূর হবে।

এমন প্রচারণার বিষয়ে যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ বলেন, সামনে সময় কম। আমি চাচ্ছি কম সময়ে বেশি মানুষের কাছে ‘পরিবর্তনের ডাক’ পৌঁছাতে। আমি নিজেও ভেবেছিলাম, লোকে কী ভাববে? কিন্তু ভোটাররা বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। তাইতো কর্মী ও সর্মথকদের পাশাপাশি নিজেই মাইক আর লিফলেট হাতে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। সামনের নির্বাচনে কোনো কারচুপি না হলে জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জানা গেছে, ঢাকা কলেজের সাবেক এই শিক্ষার্থী পেশায় একজন সাংবাদিক। তার হাত ধরেই ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও ঢাকা কলেজে পড়াকালীন সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ছাত্রদের অধিকার সংশ্লিষ্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, দেবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন, কাউন্সিলর পদে ৬২ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভায় মোট ভোটার ১০ হাজার ৯১৪ জন।

রনি মিয়াজী/এসপি