মাত্র কয়েকদিন হলো জেলেদের জালে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। ঠিক সেই মুহূর্তেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে জেলেরা গভীর সমুদ্রে থেকে জাল তুলে ট্রলার নিয়ে মৎস্যবন্দর আড়ৎ ঘাটে ফিরে এসেছেন।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর ও মহিপুরে শিববাড়িয়া নদীর দুই তীরে কয়েক হাজার মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে এসে নোঙ্গর করে আছে।  মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে  পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। 

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি ওড়িশা উপকূল এলাকায় একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। 

জেলেরা জানান, ধার দেনা করে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তারা। এরপর সাগরের বুকে জাল ফেলেন। দেখা মেলে কাঙিক্ষত রুপালি ইলিশের। কিন্তু নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢেউয়ের তাণ্ডব সইতে না পেরে ইতোমধ্যে হাজারো ট্রলার আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ, সোনাতলা নদীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আশ্রয় নিয়েছে।

সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারের মাঝি মো. একলাস গাজী বলেন, মাত্র কয়েকদিন ধরে জালে ইলিশের দেখা মিলেছে। হঠাৎ করে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। অস্বাভাবিক ঢেউয়ের তাণ্ডবে টিকতে না পারায় মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার তীরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি। নিম্নচাপের প্রভাব কমলে আবার সমুদ্রে যাব।

আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমানে সাগর চরম উত্তাল থাকায় হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাটে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।

কাজী সাঈদ/আরএআর