পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি। জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরের ধলিয়া খালের ওপারে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুর ও বড়ঝালাসহ পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। এসব মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ধলিয়া খাল। তবে কয়েক দশক ধরে প্রতিশ্রুতিতেই আটকে আছে ধলিয়া খালের ওপর সেতু নির্মাণ। 

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কাঠের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করেন পাঁচ গ্রামের মানুষ। তবে সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণে সেই কাঠের সেতু ভেঙে যাওয়ায় মাটিরাঙ্গার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এ জনপদের নিম্ম আয়ের মানুষগুলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হলে সেতুটি নির্মাণে উদ্যোগ জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্যাহকে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার অর্থায়নে কাঠের ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মাত্র ৩০ দিনের মাথায় মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সেতুটি নির্মাণ শেষে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

ধলিয়া খালটি ৭ নং ওয়ার্ডের পাঁচ গ্রামের মানুষকে শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে জানিয়ে কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খোকন বলেন, সারা বছরই ধলিয়া খালে পানি থাকে। ফলে ভোগান্তি মানুষের পিছু ছাড়ে না। সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে যায় কাঠের ঝুলন্ত সেতু। তবে সেতু নির্মাণ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জনদুর্ভোগ লাঘবে ধলিয়া খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা) মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, বিষয়টি জানার পর জেলা প্রশাসক মহোদয় নিম্ম আয়ের মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে জনস্বার্থে সেতুটি নির্মাণের নির্দেশ দেন। নির্মাণ শেষে তা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হলো। ধলিয়া খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, পাকা সেতু নির্মাণ করা না গেলে এই মানুষগুলোর কপালের ভাজ প্রতি বর্ষা মৌসুম শেষে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে।

জাফর সবুজ/এসপি