সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর ও তার এক সহযোগীকে হাটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ দাবির অভিযোগে উত্তেজিত জনতা ধোলাই দিয়ে আটকে রাখার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটার দিকে উপজেলার ধামাইচ গ্রামীণ হাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনের পোশাক ছেঁড়া একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর এস এম শহিদুল ইসলাম রন্টু ও হাসপাতালের নৈশপ্রহরী গোরাচাঁদ ধামাইচ হাটে গিয়ে ভেজাল পণ্যের অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন। ব্যবসায়ীরা ঘুষ দিতে অস্বীকার করলে তাদের জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে খারাপ ব্যবহার করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের ধোলাই দিয়ে আটকে রাখে।

পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর এস এম শহিদুল ইসলাম রন্টু ও নৈশপ্রহরী গোরাচাঁদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

ধামাইচ বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রাশিদুল ইসলাম বলেন, স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর প্রায়ই হাটবাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দাবি করেন। গতকাল বিকেলে ধামাইচ হাটে এসে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেন। আমার দোকানে এসেও তিনি টাকা দাবি করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্যানিটারি ইন্সেপেক্টর এস এম শহিদুল ইসলাম রন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে আশিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, খরব পেয়ে পুলিশ ধামাইচ হাট থেকে এস এম শহিদুল ইসলাম ও গোরাচাঁদকে উদ্ধার করে। পরে রাত আটটার সময় মুচলেকা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাদের ছাড়িয়ে নেন।

তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জামাল মিয়া শোভন বলেন, মুঠোফোনে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করি। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুভ কুমার ঘোষ/এনএ