রংপুর বিভাগে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত বেড়েছে। তবে কমে এসেছে সুস্থতার হার। টানা তিন দিন মৃত্যুশূন্য থাকার পর আবারও একজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনা আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৫৫ জন। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিভাগে ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ওই দিন একজনের মৃত্যু হয়। সুস্থ হয়েছিল ১৭৫ জন। 

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ১ হাজার সাতজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ঠাকুরগাঁওয়ের ১৮, পঞ্চগড়ের ১৫, দিনাজপুরের ১০, রংপুরের ১০, গাইবান্ধার ৬, নীলফামারীর ৩ এবং কুড়িগ্রামের দুইজন শনাক্ত হয়েছেন।

গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২২০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩২২ জন মারা গেছেন।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছেন গাইবান্ধায়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ২৪৭ জন, নীলফামারীতে ৮৭ জন, পঞ্চগড়ে ৭৯ জন, কুড়িগ্রামে ৬৬ জন ও লালমনিরহাটে ৬৬ জন মারা গেছেন।

এখন পর্যন্ত বিভাগে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৪১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫০ হাজার ৯৪৫ জন।

এদিকে রংপুর বিভাগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩৮ লাখ মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ বিভাগের আট জেলায় প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষের বসবাস।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। তবে এখন যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি