নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আজ (২০ সেপ্টেম্বর)। তবে ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ না থাকা, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর অব্যাহত হুমকি ও নেতাকর্মীদের নিরাপত্তাসহ নানা অভিযোগে ভোটের আগের দিন দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

তারা হলেন- ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ (ডালিম) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হানিফ (পাঞ্জাবী)।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজে বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন কবিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডালিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তিনি এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। সোমবার অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে তার ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও প্রার্থীর লোকজন বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে নেতাকর্মী ও ভোটারদের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করছে। এ কারণে তার পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ অসম্ভব। তাই তিনি ভোট বর্জন করেছেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অন্যদিকে রাতে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হানিফ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সফি উল্যাহ দুলাল (উটপাখি) আমার ও বোনের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং প্রাণনাশের চেষ্টা চালায়। তাই জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টমাস বড়ুয়া বলেন, নির্বাচন নিয়ে হামলা বা সহিংসতার খবর আমি জানি না। তবে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়িতে বাড়িতে নারীদের ঝগড়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একজন প্রার্থীর একটি চিঠি উপজেলা থেকে আমার কাছে এসেছে।

কবিরহাটের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। আমি এ বিষয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।

হাসিব আল আমিন/এসপি