তিন বছর আগে টেন্ডার হলেও নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম একটি সড়কের সংস্কার কাজ আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এই সড়কটির টেন্ডার আহ্বান করেছিল ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল। কিন্তু করোনাসহ নানা অজুহাতে কাজ বন্ধ রেখে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

নারায়ণগঞ্জ শহরের ডাক বাংলো থেকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ওই সড়কের কার্পেটিং কাজটি পেয়েছিলেন রত্না এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালত খোলা থাকা অবস্থায় এই সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় সোমবার পুরো শহরজুড়ে ছিল তীব্র যানজট। বিশেষ করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে ছিল। এ সড়কের একপাশে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি তোলারাম কলেজ ও আরেক পাশে সরকারি বালিক উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। তাছাড়া বিসিক নিট পল্লীর প্রায় কয়েকশ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শ্রমিক এই সড়ক দিয়েই আসা-যাওয়া করেন। সকালে কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে পুরো শহরজুড়ে ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খান।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল সিটি করপোরেশন এলাকার কয়েকটি সড়ক পুনরায় সংস্কার (রিপিয়ারিং) কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কয়েকটি সড়ক মিলিয়ে এ উন্নয়ন কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কাজটি পায় রত্মা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার মালিকের নাম জাকির হোসেন। 

অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার জাকির হোসেন সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ টেন্ডারের কাজই পেয়ে থাকেন। ফলে তিনি বেশ প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিতি। উন্নয়ন কাজের টেন্ডার পাওয়ার পর নিজের সুবিধাজনক সময়ে কাজ করেন তিনি। 

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রত্না এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকির হোসেন বলেন, আমি মনে করি এলাকাবাসী সন্তুষ্ট। আমার যতদূর মনে পড়ে তিন বছর নয়, ৬ থেকে ৮ মাস আগে টেন্ডার হয়েছে। কাজটি বৃষ্টিসহ নানা কারণে এতদিন করা হয়নি। আগামীকাল কলেজ রোডের কাজ করব এবং চাষাঢ়ার সড়কের কিছু কাজ বাকি আছে সেটাও আশা করি  তিনদিনের মধ্যে সমাপ্ত হবে। 

তবে কাজের কার্যাদেশে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন না করার জন্য সিটি করপোরেশন থেকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।

রাজু আহমেদ/আরএআর