নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সোনালী ব্যাংক থেকে এক নারী গ্রাহকের চেক ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সাত লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন অপর এক নারী। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

তবে এ ঘটনার সঙ্গে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত নয় বলে ঢাকা পোস্টকে জানান ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মেদ। তিনি বলেন, রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখায় এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কেন্দুয়া পৌর এলাকার বাদে আঠারোবাড়ি মহল্লার এক নারী পূর্ণতা। তিনি ছয় মাস ধরে ব্যাংকে গিয়ে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পেনশনসহ অন্যান্য গ্রাহকদের সঙ্গে মিশে তাদের হিসাব থেকে চেক লিখে টাকা তুলে দেন। অনেক সময় গ্রাহকের চেক বই থেকে স্বাক্ষর করা চেকের পাতা ছেঁড়ার সময় কৌশলে দু-একটি পাতা ছিঁড়ে নেন তিনি। পরে ওই চেকে স্বাক্ষর জাল করে সুযোগ মতো টাকা উঠিয়ে নেন বলে জানা গেছে।

এদিকে দুই সপ্তাহ আগে পূর্ণতা উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের এক নারীকে নিয়ে সোনালী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখায় একসঙ্গে হিসাব খোলেন। সেদিন কৌশলে ছিলিমপুর গ্রামের ওই নারীর চেক বইয়ের পাতা থেকে একটি পাতা ছিঁড়ে রেখে দেন তিনি। রোববার দুপুরে ব্যাংকে গিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সাত লাখ টাকা উঠিয়ে নেন। 

টাকা উঠানোর পর ছিলিমপুর গ্রামের মূল গ্রাহকের মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পৌঁছালে তিনি ব্যাংকে ছুটে যান। এরপরই ঘটনাটি ফাঁস হয়। পরে ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠেন। 

রোববার রাতে শাখা ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে প্রথমে তিনি এড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার পর গণমাধ্যমকে জানানো হবে। কিন্তু পরে তিনি আর কিছুই জানাননি।

সোমবার দুপুরে এ বিষয়ে জানতে গেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাখা ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া সাত লাখ টাকা উদ্ধার করে মূল গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়ে তা মিটমাট করে দেওয়া হয়েছে।

জিয়াউর রহমান/এসপি