বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের দুলাল ফকিরের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের জানেরখালপাড় এলাকার দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলের সঙ্গে আমার মেয়ে তারিনের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালে এমনিতেই নানা সমস্যায় আছি। মেয়েটার ১৮ বছর হতে মাত্র ১ বছর ৩ মাস বাকি ছিল। এর মধ্যে ছেলেটাও মোংলায় চাকরি করে। এ কারলে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ম্যাজিস্ট্রেট খাতুনে জান্নাত বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিনের মাধ্যমে বুধবার দুপুরে দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের ও রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির নিয়মিত মেধাবী ছাত্রীর বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে এসে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে ওই পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়ের সঠিক বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দিতে সতর্ক করা হয়েছে পরিবারকে।

তানজীম আহমেদ/এনএ