খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, করোনাকালে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত সকল সেক্টরে প্রণোদনা দিয়েছেন। মানুষের জীবন জীবিকা স্বাভাবিক রেখেছেন। খাদ্যের অভাব হলে ৩৩৩ নন্বরে ফোন করলে দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা পোঁছে দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র মানুষের মোবাইলে সহায়তার টাকা পৌঁছে গেছে। এটাই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। 

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের মাঝে প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

পরে একই স্থানে অসচ্ছল সংস্কৃতিকর্মী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষিদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন খাদ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বান্ধব সরকার। সংস্কৃতিকর্মীদের বিষয়ে খুবই আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী। নিজের চিন্তা চেতনাকে স্বচ্ছ রাখার পাশাপাশি বাল্যবিবাহ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সংস্কৃতিকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। অপসংস্কৃতি থেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি, বিবাহ রেজিস্ট্রার ও প্রশাসনকে সোচ্চার হতে হবে। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। 

মাদক সমাজকে পঙ্গু করে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুব সমাজকে রক্ষা করতে মাদককে রুখতে হবে। বাল্যবিবাহ ও মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স ভূমিকা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজান হোসেন মন্ডল, সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার প্রসুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আরএআর