অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তি চেয়ে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী

পাবনার সুজানগর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা ও দুই শিক্ষককে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা শিক্ষা কমিটির এক সভায় তাদের বদলির সুপারিশ করা হয়। 

দুই শিক্ষকের মধ্যে একজন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং অপরজন আরেকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। 

এদিকে স্কুলশিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের এ ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষেভের সৃষ্টি হয়েছে। 

অভিযুক্ত শিক্ষকরা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমাদের স্কুল থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি পক্ষ এই অপবাদ দিচ্ছে। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার জানান,  এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান চরমভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ায় অভিযুক্ত দুই স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আলম হোসেন নামে ওই বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক গত বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভায় এ বিষয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির  নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মো. রওশন আলী বলেন, উপজেলা শিক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওই শিক্ষিকাসহ অভিযুক্ত দুই স্কুলশিক্ষককে দ্রুত বদলির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদেরকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে  বিভাগীয় মামলা দায়েরসহ পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি শাহীনুজ্জামান শাহীন জানান, প্রাথমিকভাবে শিক্ষা কমিটির সভায় অভিযুক্ত দুই স্কুলশিক্ষক ও  শিক্ষিকার বক্তব্য ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনাটি সত্য বলে মনে হয়েছে। 

পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মুনসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয় পাঠদানের জায়গা, এখানে অশ্লীল কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। শিক্ষকরা যদি অনৈতিক কাজ করেন তাহলে এর প্রভাব শিশুদের ওপর পড়ে। অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করব।

রাকিব হাসনাত/আরএআর