বরগুনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে ফের সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেই বিনয় কৃষ্ণ শীল। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরগুনা প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে তার স্ত্রী ও সন্তানের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেন। পরে বরগুনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যায়। তিনি একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় বরগুনা থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন।

এর আগে গত বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়ে আহত অবস্থায় বরগুনা প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের বিরুদ্ধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ আনেন বিনয় কৃষ্ণ শীল। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, তাকে বৈদ্যুতিক শকসহ বিভিন্ন কৌশলে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করেন ওসি কেএম তারিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা।

সে সময় তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকজন সালিসকারীকে বিবাদী করে আদালতে তার স্বাক্ষরযুক্ত অলিখিত রেপ কাগজ (কার্টিজ পেপার) উদ্ধারের মামলা দায়ের করায় তাকে থানায় ডেকে নিয়ে বিবাদীপক্ষের উপস্থিতিতে রাতভর নির্যাতন করে পুলিশ

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিবাদীপক্ষের একাধিক সালিসকারীকে সঙ্গে নিয়ে বরগুনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বরগুনা প্রেসক্লাবে ফের আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশি নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন বিনয় কৃষ্ণ শীল।

বিনয় কৃষ্ণ শীল একজন দরিদ্র নরসুন্দর। তার বাড়ি সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আমতলা-মাইঠা গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানদের পারিবারিক কলহ চলছিল।

বিনয় কৃষ্ণ শীলের বড় ছেলে বিশ্বজিৎ শীল (২২) বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করেন। এ নিয়ে সালিস বৈঠক বসলে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী সালিসে তার বিপক্ষে অবস্থান নেন বলে অভিযোগ করেন বিনয়।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/আরএআর