ছবিটি নওগাঁ জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া

জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা তালতলী সড়কে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছের মনোরম সৌন্দর্যের সড়কটিতে হয়ে গেল প্রথমবারের মতো ঐতিহ্যবাহী তাল পিঠা উৎসব।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ আয়োজন করে হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদ। সাধারণত শীতকালে লোকে গায়ে গরম কাপড় চেপে গরম গরম পিঠার স্বাদ নিয়ে থাকেন। তবে শীত আসার আগেই গানের সুরে সুরে নানা রকমের পিঠার স্বাদ নিতে মেতে উঠেছিলেন হাজারো মানুষ এ পিঠা উৎসবে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক সংঠন ও প্রতিষ্ঠান পিঠা উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় ৩০ ধরনের তাল পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বানানো অর্ধশতাধিক রকমের পিঠা এসেছে উৎসবে। স্টলগুলোতে থরে থরে সাজানো ছিল কানমুচড়ী, ফুলঝড়ি, মুইঠা, পুলি, পাতা নকশী, পাকান, হৃদয়হরণ, ঝিনুক পিঠা, তালের কেক, তালের ফুলঝড়ি, পাখির বাসা, তালের মাংস সিংড়াসহ বিচিত্র সব পিঠা। 

প্রতিটি পিঠার দাম ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি স্টলে দেখা যায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ রকমের পিঠা। বাড়ি থেকে তৈরি করে আনা পিঠার পাশাপাশি অনেক স্টলেই হরেক রকমের পিঠা তৈরি করেন।

এদিকে পিঠা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান গ্রামীণ সংস্কৃতির পিঠাপুলি। গ্রামীণ সংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতির প্রধান জায়গা। সেই গ্রামীণ সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাল পিঠা। ঘুঘুডাঙ্গার দৃষ্টিনন্দন তাল গাছের নিচে তাল পিঠা উৎসব আমাদেরকে সেই সংস্কৃতির শেকড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।

হাজিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশিদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারীয়াসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএএস