উত্তরের নদীভাঙন কবলিত জেলা কুড়িগ্রামে গত তিন মাস ধরে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যাহত ভাঙনের শিকার হয়ে বসতভিটা হারিয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। এসব নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকাস্থ কুড়িগ্রামবাসী।

শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবীণ রাজনীতিবিদ, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন বলেন, আমরা কুড়িগ্রামবাসী সব সময় অবহেলিত অবস্থায় রয়েছি। তার ওপর আমাদের জেলায় যেসব নদী রয়েছে প্রতিবছর সেগুলোর ভাঙনের শিকার হয়ে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়িহারা হয়ে পড়ে। আমরা এসব নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাতে আজ এই মানববন্ধনে এসেছি। সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দারিদ্র্য তৈরির কারিগর এসব নদীকে যথাযথ শাসন করে।

মানববন্ধনে কুড়িগ্রাম সমিতি ঢাকার মহাসচিব সাইদুল আবেদীন ডলার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় দারিদ্র্যের হার ৭১ শতাংশ। এই দারিদ্র্য বেশ কিছু কারণে হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নদী ভাঙন। জেলার শিক্ষার হারও দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। কারণ অধিকাংশ সময় জেলার বিভিন্ন অঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকে। এসব এলাকায় শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয় নদীর চর এলাকার কোমলমতি শিশুরা। ফলে তারা একটা সময় শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ে। তাই এসব সমস্যার সমাধানে কুড়িগ্রামের নদীগুলোতে দ্রুত বাঁধসহ স্থায়ী সমাধান জরুরি।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, কারমাইকেল কলেজের সাবেক ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুস সুলতান মানিক, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিষদের (সিসাপ) সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল কুমার রায়, ঢাকাস্থ কুড়িগ্রামবাসীর সদস্য সচিব কাদের বাবু এবং আহ্বায়ক মো. আখতারুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী।

এসএস