ঢাকার ধামরাইয়ে বিনা অনুমতিতে সড়কের পাশ থেকে ১৩২টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগে বেসরকারি সংস্থা সজাগের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

সোমবার সকাল ১০টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান। এর আগে শনিবার অনুমতি ছাড়াই সড়কের পাশের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- বেসরকারি এনজিও সংস্থা সজাগের পরিচালক আব্দুল মতিন (৬২), ম্যানেজার মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ (৫০), গাছের ক্রেতা মো. হানিফ আলী বেপারী (৩০) ও সাধু বেপারী (৬০)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের চাপিল এলাকা থেকে নওগাঁও পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের ১০৭টি এবং কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকা থেকে পথহারা পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার ২৫টি গাছ বিক্রি করা হয়েছে।এ সময় উপজেলা বন কর্মকর্তারা গাছ কাটতে বাধা দেন। কিন্তু তাদের বাধা উপেক্ষা গাছ কাটেন এবং বলেন, ‘আমরা গাছ কাটব, আপনারা যা পারেন তাই করেন।’ 

বিষয়টি বন বিভাগের কর্মকর্তা মোতালিব আল মোমিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার দুটি দা, দুটি কুড়াল, দুটি করাত, শাবল, রশিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করেন।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোতালিব আল মোমিন বলেন, ১৯৯০ সালে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) আওতায় রাস্তার দুই পাশে গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ‘সজাগ’ বন বিভাগের কোনো অনুমতি না নিয়েই নিজেরদের ইচ্ছে মতো গাছগুলো বিক্রি করেছে। প্রায় সব গাছ কেটে ফেলেছে। গাছগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মাহিদুল মাহিদ/এসপি