টাঙ্গাইলের সখীপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় আবু সাঈদ তালুকদারের (৪২) পাঁচ বছরের সাজা হয়। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হয়ে পালিয়ে থাকেন ১৪ বছর। অবশেষে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাবনার ভাঙ্গুড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সাঈদ উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত কদ্দুস তালুকদারের ছেলে। গ্রেফতারের ভয়ে তিনি ১৪ বছর পলাতক অবস্থায় ভাঙ্গুড়ার বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন বলে জানিয়েছে সখীপুর থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরের কচুয়া সড়কে গাউজ ভাণ্ডারি কাগজ বিতান নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রবাসীদের ব্যাংক ড্রাফটের ব্যবসা করতেন আবু সাঈদ। ওই সময় তিনি সখীপুর বাজার বণিক সমিতির বিভিন্ন সদস্যদের কাছ থেকে মাসিক হারে লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পরে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই বাজারের বণিক সমিতির সদস্য মামুন মিয়া টাঙ্গাইল আদালতে তার বিরুদ্ধে সাড়ে ১৩ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। সে বছর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় ২০০৮ সালে সাঈদ তালুকদারের পাঁচ বছরের সাজা হয়।

সখীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সানিউল আলম জানান, গ্রেফতারের ভয়ে ২০০৭ সালে পালিয়ে পাবনার ভাঙ্গুড়া চলে যান সাঈদ। সেখানে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। ১৪ বছর ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে খবর পেয়ে তাকে পাবনার ভাঙ্গুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভুঁইয়া বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আবু সাঈদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তার সাজা হয়েছে। তিনি থানার তালিকায় পুরাতন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাকে গ্রেফতার করতে তার মায়ের ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এরপর তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে আবু সাঈদের ঠিকানা শনাক্ত করা হয়। আবু সাঈদকে ধরতে থানার পুলিশ সদস্যরা ছদ্মবেশে ভাঙ্গুড়ার শরৎনগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করেন। পরে সোমবার ভোরে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এএসআই সানিউল আলম ও এএসআই এনামুলকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দফতরে আবেদন করা হবে বলেও জানান ওসি। 

আরআই/আরএআর