যশোরের শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলীর বিরুদ্ধে দলীয় ও আত্মীয়করণ করে এক স্থানের বরাদ্দের রাস্তা অন্য স্থানে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, ডিহি ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তার জন্য স্থানীয় লোকজনের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ কারণে রাস্তার জন্য বরাদ্দ আসে, রাস্তাও হয়। তবে যেখানে হওয়ার কথা সেখানে হয়নি। রাস্তা হয়েছে ওই গ্রামের চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ট লোকের বাড়ির পাশে।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে তেবাড়িয়া গ্রামের সালামের বাড়ি থেকে আমজাদের বাড়ি পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ ফুট কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পান চেয়ারম্যান। এ রাস্তার কাজ না করে তিনি গ্রামের পলাশের বাড়ি থেকে রাকিবের বাড়ি পর্যন্ত ১০০ ফুট রাস্তা পাকা করেন। তবে রাস্তার পাশের নির্মাণ ফলকে লেখা ‘সালামের বাড়ি হইতে আমজাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ফ্লাট সলিংকরণ।’

ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বলেন, এক জায়গার বরাদ্দের টাকা দিয়ে আরেক জায়গায় কীভাবে রাস্তা হয়? চেয়ারম্যান নিজের স্বার্থের জন্য রাস্তা অদল-বদল করেছেন। 

শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী এস এম মামুন হাসান জানান, এক স্থানের বরাদ্দের রাস্তা আরেক স্থানে করার এখতিয়ার চেয়ারম্যানের নেই। সেটি করতে হলে জেলা পরিষদ থেকে পরিবর্তন করে নিতে হবে। 

ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আলী বলেন, ওই রাস্তা নিয়ে একটা মামলা ছিল। জেলা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করে জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে নির্মাণ ফলক পরিবর্তন না করা ভুল হয়েছে। পরে যখন রাস্তা পাকা করার জন্য বরাদ্দ আসবে তখন ফলক পরিবর্তন করা হবে। এখন কিছু করার নেই।

জেলা পরিষদের সদস্য মো. ওয়াহিদুজ্জামান ওহিদ বলেন, চেয়ারম্যানে রাস্তা পরিবর্তন নিয়ে জেলা পরিষদে কোনো আবেদন করেননি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ২০১৭ সালে হওয়া ওই মামলা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতেই খারিজ হয়ে যায়। এরপর আর কোনো জটিলতা ছিল না।

আরআই/আরএআর