গত কয়েক দিন ধরে পর্যটকদের আগমনে মুখরিত ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জের কাশবন। প্রতিদিন শত শত মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে কাশবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসতেন। তবে অশ্লীলতার অভিযোগ এনে কাশবনে আগুন দিয়েছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে কাশবনে আগুন ধরিয়ে দেন।

স্থানীয়রা জানান, কাশবনটি সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের পাশে অবস্থিত। চৌঘরী এলাকার এক বাসিন্দা ব্যক্তিগতভাবে বালু উত্তোলন করে সেখানে জমিয়ে রেখেছিলেন। বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকায় জমিয়ে রাখা বালুতে প্রাকৃতিকভাবেই কাশবন হয়। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় হাজারো মানুষের আগমন ঘটে কাশবনে। পরিবার-পরিজন নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন। 

কাশবনের সৌন্দর্য দেখার নাম করে একদল মানুষ এখানে অশ্লীল কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। প্রতিনিয়ত কাশবনের আড়ালে খারাপ কাজ চলে। যে কারণে এলাকায় এর প্রভাব পড়ছে। শুক্রবার কয়েকবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে এখানে। এক মেয়ের ওড়না ধরা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে স্থানীয়রা তা সমাধান করে দেন। যে কোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে। এ জন্য সবদিক বিবেচনা করে কাশবনে আগুন দেওয়া হয়। 

এদিকে কাশবনে আগুন দেওয়ায় অনেকে এর সমালোচনাও করছেন। তারা বলছেন, এটা জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। মানুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে, আর তারা তা জ্বালিয়ে দিয়েছে। কাশবন জ্বালিয়ে না দিয়ে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দিলেও হতো।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম কবির বলেন, কাশবনকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। কাশবনটি পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। কাশবনটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায়। সরকারি জায়গায় হলে সেটি পর্যটন স্পটে রূপান্তর করা যেত।

তুহিন আহমদ/আরএআর