রফিকুল ইসলাম। ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল। দীর্ঘ ৩৪ বছর চাকরি করেছেন। রোববার (০৩ অক্টোবর) ছিল তার অবসরে যাওয়ার দিন। শেষ দিনটিতে পুলিশ সুপারের উদ্যোগে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেনের কাছ থেকে পেলেন ব্যতিক্রর্মী সংবর্ধনা। সন্ধ্যায় তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

রফিকুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার ডুমাইন গ্রামে। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩৪ বছর দেশের বিভিন্ন থানায় দক্ষতার সঙ্গে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরি জীবনের শেষ দিনটিকে স্মরণীয় করতে বিশেষ আয়োজন করে তার শেষ কর্মস্থল রাজবাড়ী সদর থানার সহকর্মীরা।

চাকরি জীবনে সব সময় পুলিশ ভ্যানের পেছনের খোলা অংশে বসেই চলাচল করেছেন তিনি। তবে শেষ দিন তাকে বসানো হলো গাড়ির সামনের আসনে। শুধু তাই নয়, গাড়িটি ফুল-বেলুন দিয়ে সাজানো হয়। সুসজ্জিত গাড়িতে করে রাতে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে। এমন সম্মান পাওয়াতে অভিভূত এই পুলিশ সদস্য।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন, এসআই কামরুজ্জামান, এসআই হিরণ কুমার বিশ্বাস, এসআই মাসুদ, এএসআই মাহাবুব, পুলিশ কনস্টেবল আনিসুর রহমানসহ অন্যান্যরা। সে সময় তার হাতে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম বলেন, চাকরি জীবন শেষে একজন কনস্টেবল হিসেবে আমি এত সম্মান পাব তা কখনও কল্পনা করিনি। আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত ও আবেগাপ্লুত।

তিনি আরও বলেন, চাকরি জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওনা আমি আজ পেয়ে গেছি। জীবনের ৩৪টা বছর দেশের নানা জায়গায় কাজ করেছি। বিদায় বেলায় ওসি স্যার যে আয়োজন করলেন তা সারা জীবন মনে থাকবে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্যদের অবসরে যাওয়ার দিনটি যাতে স্মরণীয় হয়ে থাকে সেজন্য জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান স্যারের নির্দেশনায় এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবসরগ্রহণকারী পুলিশ কনস্টেবলরা দীর্ঘ দিন গাড়িতে চড়ে দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। কর্মজীবনের শেষ দিন যেন সেই গাড়িতেই যেতে পারেন সেজন্য এ ব্যবস্থা করা।

মীর সামসুজ্জামান/এসপি