‘মাদক পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি। মাদক সামগ্রিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। সেই দিক বিবেচনায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। ডোপ টেস্ট করার পর নেগেটিভ আসলেই জেলা কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। মাদকমুক্ত নেতৃত্ব তৈরি করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিহাস হয়ে থাকবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জালাল মুকুল এসব কথা বলেন। শহরের একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটি গঠনে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শাহ জালাল মুকুল বলেন, নেতা নির্বাচনের আগে ডোপ টেস্টের এই সাহসী সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও আশীর্বাদ রয়েছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনেপ্রাণে দেশকে মাদকমুক্ত করতে চান। তাই মাদকবিরোধী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। তার যথাযথ নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। 

তিনি আরও বলেন, আগামী বুধবার (০৬ অক্টোবর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। এ উপলক্ষে গত শনিবার (০২ অক্টোবর) জেলা কমিটিতে বিভিন্ন পদের প্রার্থী হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০ নেতাকর্মীর ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে এসব তারা ডোপ টেস্ট করতে দিয়েছেন। 

শাহ জালাল মুকুল বলেন, আগামী বুধবারের (০৬ অক্টোবর) আগেই সম্মেলনের প্রার্থী হতে আগ্রহীদের ডোপ টেস্টের রেজাল্ট আমাদের হাতে চলে আসবে। যাদের পজিটিভ আসবে তাদেরকে পুনর্বাসনে কাজ করা হবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই ডোপ টেস্টের ফলাফল পাওয়ার পর স্থানীয় নেতাদের মতামত ও পরামর্শ এবং দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা, ত্যাগ বিবেচবায় নিয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ রুহুল আমিন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইফতেখারুল ইসলাম সুজন, জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শহিদুল হুদা অলক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাইজার রহমান কনক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর