২০২০ সালের ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাওসার। কিন্তু তখন চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসতে পারেননি তিনি। কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টে তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করার নির্দেশ দিলে ৩৫৯ দিন পর আজ সোমবার (৪ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদে প্রথম অফিস করেছেন মো. কাওসার।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। করোনার কারণে ওই শূন্য আসনে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর। এতে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাউছার।

তবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গত ৬ ডিসেম্বর ওই নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ ঘোষণার প্রতিবাদে ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন কাওসার। ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের ২৭ নম্বর বেঞ্চের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহবুব হাসান গেজেট প্রকাশ করে কাওসারকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করতে যা যা প্রয়োজন তা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন।

এ প্রেক্ষিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন একটি গেজেট প্রকাশ করে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বাতিল ঘোষণা সংক্রান্ত আদেশটি প্রত্যাহার করে। পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন কাওসারকে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। এরপর গতকাল রোববার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের বাতিলের সিদ্ধান্ত নাকচ করে দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন। নির্বাচন কমিশন আপিল না করে গেজেট প্রকাশ করে।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মো. কাওসার ঢাকা পোস্টকে বলেন, জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অবহেলিত জনপদ চরভদ্রাসনের উন্নয়ন করাই এখন আমার লক্ষ্য।

জহির হোসেন/আরআই