খুলনার তেরখাদা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৫টি দোকান ও গুদাম পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা। মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) বিকেলে লাগা আগুন সন্ধ্যা ৬টায় নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণ নির্বাপণ হয় রাত সোয়া ৯টায়। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

রূপসার ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউসের প্রশিক্ষক নূরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে খবর পেয়ে রওনা দেই। রূপসার দুটি ও টুটপাড়ার একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এরই মধ্যে তিনটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে আগুনে ৯টি দোকানের অবকাঠামো পুড়েছে। মূলত সুধীর স্টোর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

তিনি বলেন, বিকেলে আলকাতরা তরল করতে আগুনের হিট দেওয়া হয়। তবে সেখান থেকে আলকাতরায় আগুন লেগে যায়। পরবর্তীতে বস্তা দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করা হয়। এতে আগুন আরও বেড়ে যায়। পাশেই পেট্রোলসহ তেল থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এটি বাজারের সবচেয়ে বড় দোকান। এখান থেকেই পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে সম্পূর্ণ নির্বাপণ ও কাজ শেষ হয় রাত ৯টা ১০ মিনিটে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা সম্ভব হবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, আগুনে সুধীর সাহা, কালু সাহা, অসীম সাহা, জুয়েল, তাহাবুর রহমান, মনা সাহা, বিধান সাহা, লিটু মোল্যা, হামিদ শেখের মুদির দোকান, স্বপন, আলমগীর শেখ, প্রশান্ত সাহা, দিপংকর সাহা, ইছারুল শেখ এবং শেখ ইলিয়াছুর রহমানের দোকান পুড়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

তেরখাদা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোল্যা আব্দুর রাজ্জাক কচি বলেন, বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সুধির সাহার দোকানে আগুন দিয়ে পিচ গলাতে গিয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়।

তেরখাদা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগুনের সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনসাধারণ ও মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আগুনে ১২টির মতো দোকান পুড়েছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। 

মোহাম্মদ মিলন/এসপি