বরিশাল নৌরুটে শুষ্ক মৌসুমে নাব্য সংকট দেখা দেয়। এ সংকট কাটাতে চলতি মৌসুমে বরিশাল বিভাগে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে বিলীন হয়ে যাওয়া ১৪০০ কিলোমিটার নৌপথ নতুন করে সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

বুধবার (০৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরের সম্মেলন কক্ষে মেইন্টেন্যান্স ড্রেজিং বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা জানান। 

মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বরিশাল বিভাগের খনন কাজে একসঙ্গে ১০ থেকে ১২টি ড্রেজার কাজ করবে। প্রয়োজনে সরকারের পাশাপাশি টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ড্রেজারও ব্যবহার করা যাবে। ইতোমধ্যে আমরা পটুয়াখালী জেলার কারখানা নদীতে ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, শুকনো মৌসুমে নৌযান চলাচলের উপযোগী করতে চলতি মাস থেকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন রুটে খনন কার্যক্রম শুরু হয়ে ডিসেম্বরে শেষ হবে। বিআইডব্লিউটিএর বর্তমানে ৪৫টি ড্রেজার রয়েছে। নতুন করে ২০২৩ সালে আরও ৩৫টি ড্রেজার যুক্ত হবে। আমাদের ড্রেজারের সংখ্যা বাড়লেও আগে ৭/৮টি ড্রেজারে আমাদের যে পরিমাণ জনবল ছিল এখনও তা রয়ে গেছে। ফলে জনবলের অভাবে আমাদের দ্রুত কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়।

প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বরিশাল বিভাগের ৭টি রুটের প্রায় ৩০টি পয়েন্টে প্রায় ২১ লাখ ঘনমিটার পলিমাটি খনন করা হবে। এই কাজের মধ্য দিয়ে শুকনো মৌসুমে নৌপথকে সচল রাখা সম্ভব হবে। মূলত বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পানির সঙ্গে আমাদের দেশের নদ-নদীর প্রচুর বালু বা পলিমাটি বঙ্গোপসাগরে যায়। হিসাব অনুযায়ী ৭০ শতাংশ বালু বঙ্গোপসাগরে যায়, বাকি ৩০ শতাংশ বালু আমাদের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে থেকে যায়। থেকে যাওয়া ৩০ শতাংশের কারণে প্রতিবছর নৌরুট রক্ষায় মেইন্টেন্যান্স ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। নয়তো শুকনো মৌসুমে নৌপথগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাবে।

সভায় নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আবদুল মতিন সরকার, বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা এবং লঞ্চ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর