ভেদরগঞ্জের দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে মসজিদ করার নামে পুরানো খাল ভরাট ও গতিপথ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ছমিদ মাঝির বিরুদ্ধে। ছমিদ মাঝি দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সখিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।

দীর্ঘদিনের পুরোনো খালটি অপরিকল্পিতভাবে ভরাট করায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে পানিপ্রবাহ। এতে জলাবদ্ধতার হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫০ একর আবাদি জমি। বন্ধ হয়ে গেছে নৌকা চলাচলও।

সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চরশিরিশ এলাকা থেকে আফামোল্যার বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটি দিয়ে আশপাশের বসতবাড়ি ও আবাদি জমি থেকে পানি গড়িয়ে মূল পদ্মায় এসে পড়ত। খালের পানির সাথে পলিমাটি প্রবাহিত হয়ে আশপাশের জমিগুলো প্রতিবছর উর্বর হয়ে উঠত।

বর্ষাকালে ছোট বড় নৌকা করে ফসল ও অন্যান্য মালামাল পরিবহন করত স্থানীয়রা। কিন্তু কয়েক দিন আগে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান ছমিদ মাঝি বালু ফেলে খালটির দক্ষিণ অংশের মুখ পুরোপুরিভাবে ভরাট করে ফেলেন। এতে বর্ষা মৌসুমের শেষেও ওই এলাকার আবাদি জমিগুলো থেকে পুরোপুরিভাবে পানি অপসারণ হতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, আমাদের এলাকা ও ফসলের জন্য খালটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ছমিদ মাঝি প্রভাব খাটিয়ে খালটি ভরাট করে ফেলেছেন। বর্ষা এলে আমাদের আবাদি জমিতে জলাব্ধতা সৃষ্টি হবে। নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা খালটি সচল রাখার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।

তারা আরও বলেন, খালটি দখলমুক্ত করে খনন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে আমাদের কৃষিকাজে সুবিধা হবে।

এ বিষয়ে ছমিদ মাঝি বলেন, এ খালটি আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন কেটেছিলাম। খালের যেখানে ভরাট করেছি, সেটি আমার রেকর্ডিয় সম্পত্তি। মসজিদের জায়গা বাড়াতে সেটি ভরাট করেছি। এই খাল দিয়ে এখন তেমন কোনো নৌকা বা পানি চলাচল করে না।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আল নাসীফ ঢাকা পোস্ট কে বলেন, খাল ভরাটের খবর শুনে আমি তাৎক্ষণিক সেখানে তহশিলদারকে পাঠিয়েছি। খালটি যেহেতু দীর্ঘদিনের পুরোনো, পানিপ্রবাহ সচল রাখতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ