ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচল করায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারছেন বলে জানা গেছে। 

শুক্রবার (০৮ সেপ্টেবর) সকাল ৬টা থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ৮৩টি লঞ্চ ও ১০১টি স্পিডবোট চলছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন শিমুলিয়া ঘাটের নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. সোলাইমান। 

এদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। ফেরি কম চলাচল করায় ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ছোট বড় মিলে তিন শতাধিক যানবাহন ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়। ১৫৬ দিন বন্ধ থাকার পর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হতে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে স্পিডবোট চলছে।

শিমুলিয়া নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এ রুটে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্পিডবোট চলাচল করবে। গত ৩ মে দুর্ঘটনায় ২৬ জন মারা যাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় স্পিডবোট চলাচল। এরপর শুরু হয় বোটগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া। বর্তমানে নিবন্ধনকৃত ১০১টি স্পিডবোট এ নৌপথে চলাচল শুরু করেছে। এগুলোর মধ্যে শিমুলিয়া ঘাটের ৫৩টি, বাংলাবাজার ঘাটের ২৯টি এবং মাঝিকান্দি ঘাটের ১৯টি। প্রতিটি স্পিডবোটে ১২ জনের বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে না। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত্র যাত্রী প্রতি ১৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।

শিমুলিয়া নদীবন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এবং সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্পিডবোট বন্ধ থাকায় এ নৌপথে যাত্রীদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল। এখন চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করাসহ সরকারি নির্দেশনা মেনে চলবেন চালকরা।

তিনি আওে বলেন, ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চালু থাকায় এখন সবাই ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যেতে পারছে। এছাড়া পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া ও উপযুক্ত কাগজপত্র না থাকায় স্থগিত আছে ৪৪টি স্পিডবোটের নিবন্ধন। তার মধ্যে ৯ জনের ডোপ টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক বাণিজ্য ফয়সাল আহম্মেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় তিন শতাধিক যানবাহন রয়েছে। তবে স্পিডবোট, লঞ্চ চালু থাকায় ঘাটে যাত্রীর চাপ নেই।

ব.ম শামীম/এসপি