‘শিক্ষক আব্দুল খালেক ছিলেন একজন আপাদমস্তক আদর্শিক মানুষ ও সমাজের বাতিঘর। শিক্ষকতার ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। মানুষ গড়ার এই কারিগর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। নীতি ও আদর্শ থেকে তিনি একটুও বিচ্যুত হননি। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।’ 

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে উপজেলা নাগরিক কমিটি আয়োজিত স্কুলশিক্ষক আব্দুল খালেকের স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্মরণ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, একজন আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন আবদুল খালেক। প্রগতিশীল এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন এই শিক্ষক শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে গেছেন। পুরো উপজেলায় তিনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে গেছেন। এ কারণে উপজেলার দল-মত নির্বিশেষে প্রত্যেকেই তাকে শ্রদ্ধা করতেন।

ঘিওর নাগরিক কমিটির সভাপতি শিক্ষক সচীন্দ্রনাথ মিত্রের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি একরামুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক শামসুল আলম, ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন, ঘিওর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, ডি এন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান শিকদার এবং আবদুল খালেকের ছেলে এ কে এম মুজাহিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।              

১৯৪৭ সালে ঘিওরের রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল খালেক। কর্মজীবনে তিনি শিক্ষকতা পেশা বেছে নেন। তিনি শিবালয় উপজেলার বরঙ্গাইল গোপালচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ঘিওরের দূর্গা নারায়ণ (ডি এন) উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে অবসরে যাওয়ার আগে চার বছর তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চার মেয়াদে ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। 

সোহেল হোসেন/আরএআর