গাজীপুর মহানগরের বাসন সড়ক ও ভোগড়া এলাকায় বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদ এবং বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। শ্রমিকদের করা মহাসড়ক অবরোধ পুলিশের অনুরোধে প্রায় ছয় ঘণ্টা পর তারা তুলে নিয়েছেন।

রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে চলা এই বিক্ষোভ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও অফিসগামী সাধারণ মানুষ।

সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে দুপুর ১টার পর পুলিশের অনুরোধে শ্রমিকরা কারখানার ভেতর প্রবেশ করলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একই মালিকানাধীন ভোগড়া বাইপাস চৌধুরীপাড়া এলাকার ইন্টারলিংক ড্রেসেস ও বাসন সড়ক এলাকার ইন্টারলিংক অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা শনিবার রাতে কাজ শেষে বাসায় ফিরেন। রোববার সকালে তাদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধের কথা ছিল।

কিন্তু সকালে কারখানায় এসে মূল ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পায়। নোটিশে বলা হয়, আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কারখানা বন্ধ। এতে কারখানা দুটির প্রায় ২ হাজার শ্রমিক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

সকাল ৮টা থেকে চলা এই বিক্ষোভ বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলে। বেলা ১টার দিকে জেলা প্রশাসকের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও শিল্প পুলিশের মধ্যস্থতায় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দল। এর পর শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কারখানার শ্রমিক আশিক, সুলতান, কাজল বলেন, প্রতি মাসেই একাধিক তারিখ দিয়েও বেতন পরিশোধ করতে পারে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। রোববার বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তারা বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়। এছাড়া যাদের চাকরির বয়স ১ বছরের কম সেই সব শ্রমিকের বিনা কারণে ছাঁটাইও করছে।

কারখানার সুইং সেকশনের শ্রমিক মামুন ও হাসেম বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় কাজ শেষ করে বাসায় গিয়েছি। তখনও আমাদের কাউকে জানানো হয়নি কারখানা বন্ধের ব্যাপারে, সকালে এসে শুনি কারখানা বন্ধ।’

এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) জাকির হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। দ্রুত বিষয়টি সমাধান করা হবে।

শিহাব খান/এমএসআর