বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফেরি পার হতে আসা শত শত যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাককে খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে গোয়ালন্দমোড় ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের কাছে আটকে থাকা দূরপাল্লার বাসগুলো ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে ফেরির দেখা পেলেও ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১ থেকে ২ দিন।

সরেজমিনে ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের চার লেন রাস্তার দুই লাইনজুড়ে ৪ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ সারি। অপেক্ষা থাকা এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যায় বেশি।

অন্যদিকে ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে ফেরিঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় ৪ শতাধিক অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রেখেছে পুলিশ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব আটকে থাকা ট্রাকগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় আবার দৌলতদিয়া ঘাটে বাড়তি চাপ পড়েছে। সেইসঙ্গে ঘাট সংকট ও পদ্মায় ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হচ্ছে।

যশোরের বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের চালক গণি মন্ডল বলেন, গতকাল দুপুরে গোয়ালন্দ মোড়ে আসি। এখনো সেই গোয়ালন্দ মোড়েই আটকে আছি। ২৪ ঘণ্টা হতে চলল, এখনো ফেরির দেখা পেলাম না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পদ্মায় স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের বাড়তি চাপ পড়েছে।

মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর