শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক যানবাহন। চট্টগ্রামে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ওরস ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক আব্দুল মমিন।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, মোংলা-ভোমরা-বেনাপোল স্থলবন্দর, বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহন নরসিংহপুর ফেরিঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে খায়েরপট্টি মোড় পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফেরি পার হতে আসা যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে। পারাপারের জন্য ৩-৪ ঘণ্টা পর বাসগুলো সিরিয়াল পেলেও ট্রাকগুলো ২-৩ দিনেও সিরিয়াল পাচ্ছে না। 

জানা গেছে, চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ওরস ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় এই রুটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে নরসিংহপুর ফেরি ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হচ্ছে।

বরিশাল থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস শতাব্দীর যাত্রী হোসেন মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার যাওয়ার জন্য সকালে ফেরিঘাটে এসেছি। এখনও ফেরিতে উঠতে পারিনি। এই এলাকায় খাবারের ভালো কোনো দোকান নেই। পরিবার নিয়ে এখন ভোগান্তিতে পড়েছি।

খুলনা থেকে আসা ট্রাকের চালক সেলিম হক বলেন, নিয়মিত এই রুট দিয়ে আমরা চলাচল করি। কিন্তু তিন দিন আগে এসেছি। এখনও পার হতে পারিনি। 

নরসিংহপুর ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক আব্দুল মমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, পদ্মা নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে যাত্রীবাহী বাস যাওয়ার কারণে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি