ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এএইচএম ফোয়াদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারক রত্না সাহা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে ফোয়াদকে গ্রেফতারের পর ফরিদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে  ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা।

তিনি জানান, এএইচএম ফোয়াদ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবৎ ফরিদপুর শহরে হেলমেট বাহিনী, হাতুড়ি বাহিনীসহ বিভিন্ন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ অফিস, বিভিন্ন হাটবাজার ইজারা, বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ, ভূমি দখল, বাসস্ট্যান্ড ও সিঅ্যান্ডবি ঘাট দখলসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে ত্রাস সৃষ্টি করে অঢেল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ফোয়াদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা, মারামারি, হামলা, সরকারি চাল উদ্ধার এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে। এ মামলাগুলোর মধ্যে সাতটি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এএইচএম ফোয়াদ। তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানাও রয়েছে। একটি মামলায় তার বাড়ির অস্থাবর মালামাল ক্রোক করার পরওয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফোয়াদকে আটকের পর ২০১৬ সালের ১২ জুলাই ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার  দেখানো হয়েছে।
ওই মামলা তদন্তের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গফফার বলেন, শুনানি শেষে আদালত ফোয়াদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফরিদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এএইচএম ফোয়াদকে গ্রেফতার করে। 

এএইচএম ফোয়াদ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের মৃত মোজহারুল হক চোকদারের ছেলে। বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

জহির হোসেন/আরএআর