বরিশালের হিজলায় মৎস্য অধিদফতরের অভিযানে ২৩ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ। এদের মধ্যে ১০ জন ডাকাত এবং ১৩ জন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরছিল। বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতভর হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীর খালিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম। 

তিনি জানান, আটককৃত ১০ ডাকাতের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ১৩ জন অসাধু জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম। এদের মধ্যে ৬ জনকে এক বছর, ৩ জনকে ৩ মাস সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪ জনকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। 

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. এস এম তাহসিন রহমান জানিয়েছেন, মা ইলিশ রক্ষায় যৌথ অভিযানে রাত সোয়া ১২টার দিকে একটি নৌকায় ১০ সদস্যের ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে ৪টি রামদা ও দেশীয় অস্ত্রসহ আক্রমণ করতে উদ্যত হয়।

এ সময় কোস্টগার্ড টহল দল ১০ জন ডাকাতকে আটক করে। অভিযানকালে ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা, ৪টি রামদা, ২টি দা, ৭টি  মোবাইল ফোন ও ১টি টর্চ লাইট জব্দ করে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন, ইউসুফ, হোসেন, মনির, মোস্তফা, ইমন, রুহুল, সবুজ, মাসুদসহ ১০ জন। এরা সবাই রফিক বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা মেঘনা পাড়ের রফিক বাহিনীর সদস্য। এদের বিরুদ্ধে মেঘনায় নৌযানে ডাকাতি এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১১ অক্টোবর বিকেলে কোস্টগার্ডের জাহাজে ঢিল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে কোস্টগার্ডের বিরুদ্ধে গ্রামে ঢুকে গণপিটুনির অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। তাতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ফারজানা বেগম অসুস্থ হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, হিজলা নদী তীরবর্তী কতগুলো সিন্ডিকেট রয়েছে যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করে। এদের বিরুদ্ধে অভিযানে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ আনেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই