কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ খুন হওয়ার পরই তার পরিবারসহ স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন। এ কারণে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ছয় পরিবারকে একটি সেন্টারে সরিয়ে নেওয়া হয়। 

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় মামলা করার পর থেকে তার ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ, স্ত্রী নাসিমা খাতুনসহ অন্য আত্মীয়দের অপরিচিত নম্বর থেকে মোবাইলে মেসেজ ও ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, এসব হুমকি কারা দিচ্ছে তা নিয়েও কাজ করছে মামলার তদন্তকারীরা।

শুক্রবার রাতে মুহিবুল্লাহর পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ কয়েকজনকে ক্যাম্পের ভেতরে একটি সেন্টারে সরিয়ে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি এমন না যে, অনিরাপত্তার কারণে তাদের সরিয়ে রাখা হয়েছে। মূলত মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে তাদের সরিয়ে রাখা হয়। ক্রাইম সিন এলাকায় লোকজন যাওয়া-আসা নিষিদ্ধ। 

মুহিবুল্লাহর ভাগ্নে এবং এআরএসপিএইচের মুখপাত্র রশিদ উল্লাহ বলেন, বুধবার মুহিবুল্লাহর পরিবারসহ তার স্বজনদের এখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। পরদিন আমাদের কয়েক পরিবারকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে জায়গা পরিচিত হলেও জায়গার নাম বলা সম্ভব হচ্ছে না। আগের জায়গা থেকে আমরা এখানে ভালো আছি।

এর আগে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্প ইস্ট-১ এর আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) অফিসের কার্যালয় সংলগ্ন এবং আশপাশের বসতিদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের মধ্যে লম্বাশিয়ায় অবস্থিত এআরএসপিএইচ কার্যালয়ে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে হত্যা করে মুহিবুল্লাহকে।

তবে নিরাপত্তার কারণে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এআরএসপিএইচের উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নারী নেত্রী জামালিদা বেগম জানান, বুধবার থেকে মুহিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানসহ বেশ কিছু পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা এখানে থাকা অবস্থায় সব-সময় আতঙ্কের মধ্যে ছিল।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/এসপি