সাভারের আশুলিয়ায় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আশ্রয় প্রকল্পের অধীনে পৃথক ২টি দুস্থ পরিবারকে নতুন ঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে শাহিদা ও আবু সাইদের কাছে ঘর ২টি হস্তান্তর করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার স্বরুপ ঘর ২টি তাদের হতে তুলে দেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার।
 
ঘর পাওয়া শাহিদা ও আবু সাইদ আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইউসুফ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়াও সাভারের দক্ষিণ রাজাশন এলাকায় অপর দুস্থ ১টি পরিবারকেও ঘর তুলে দিয়েছেন ঢাকা জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, তাদের খরচে সারাদেশে এমন সাড়ে ৩শ ঘর নির্মাণ করেছে বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা। এরই মধ্যে দেশের কয়েকটি স্থানে এ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। 

ঘর পাওয়া শাহিদা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি যখন গর্ভবতী তখন আমার স্বামী মারা যান। এরপর থেকে আমি আমার ভাইয়ের বাড়িতে থাকতাম। আমার হাতে কোনো টাকা-পয়সা ছিল না। আমি দীর্ঘদিন ধরে পোলাপান নিয়ে খুব কষ্টে ছিলাম। যুবলীগের কবির আমার কষ্ট দূর করেছেন। আল্লাহ যেন তার ভাল করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্পের আদলে যুবলীগ এ কর্মসূচীর নাম দিয়েছে আশ্রয় কর্মসূচী। সংগঠনের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বলেন, ২য় ধাপে ২২টি ঘর আজকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘর তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাছাই কাজটি করা হয়েছে খুব স্বচ্ছভাবে। জায়গা আছে কিন্তু ঘর তোলার সক্ষমতা নেই এমন মানুষকেই তুলে দেওয়া হচ্ছে ঘর।

শেখ রাসেল সম্পর্কে তিনি বলেন, দয়াবান ও দানশীল ছিল শেখ রাসেল। শেখ রাসেলের খেলার সাথি ছিল পোষা পশু-পাখি। পশু-পাখির প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। পিতা থেকেও পিতৃহারা ছিল সে, শিশুবন্দি হিসেবেও জীবনযাপন করেছে। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে মানবিক, সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতা হয়ে উঠতেন। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নূরুল আমিন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরকারসহ আরও অনেকে। 

মাহিদুল মাহিদ/আরআই