৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে খুলনা মহানগরসহ বিভাগের ১০ জেলায় বিএনপির কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উন্মুক্ত ময়দানে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে সম্মেলন করা না গেলেও কর্মী সভার মাধ্যমে আন্দোলনমুখী কমিটির ঘোষণা দিতে হবে। 

এর আগে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা কমিটিগুলো গঠন করা হবে। গত সোমবার (১২ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে রুদ্ধদার বৈঠকে কমিটি গঠনের এ সিদ্ধান্ত নেয় দলের হাইকমান্ড। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ২৫ নভেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে ২০০৯ সালে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বিএনপির নগর সম্মেলন উদ্বোধন হয়। স্টেডিয়ামের ব্যায়ামাগারে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভাপতি ও মো. মনিরুজ্জামান মনিকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের এক বছর পর খুলনা মহানগর বিএনপির ১৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলের মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। এ কমিটির নেতৃত্বে নবম সংসদ নির্বাচন, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন ও একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  

এরপর ২০১৫ সালে অক্টোবর মাসে থানা ও ওয়ার্ড শাখা গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নানা কারণে সে উদ্যোগে ভাটা পড়ে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আন্দোলন বেগবান করতে এবং গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দলের হাইকমান্ড নিষ্ক্রিয় ও মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে বলা হয়েছে, পকেট কমিটি নয়, কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা দিতে হবে। যাতে যোগ্য ও পরীক্ষিত সংগঠকরা নেতৃত্ব পায়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বলেন, ১২ অক্টোবরের সভায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে জেলায় জেলায় কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে দলের হাউকমান্ড। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও মহানগরীতে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তের আলোকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিটিগুলো গঠন করা হবে। এই সময়েই খুলনা মহানগর কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা কমিটিগুলোও গঠন করা হবে। এ নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে তোড়জোড় শুরু হবে।  

মোহাম্মদ মিলন/এসপি