ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে ফেরদৌস নামের ১১ বছরের শিশু সহকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন সহকর্মীরা। ঘটনার পর থেকে পারভেজ নামের সহকর্মী পলাতক রয়েছেন।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকার গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সহকর্মী শাহপরাণ হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত শিশু ফেরদৌস আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনে কাজ করত। সে শেরপুর জেলা সদর থানার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসচালক রইচ উদ্দিনের ছেলে। আটক হৃদয় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার চরপাড়া গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ সাহেবের ছেলে। আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের অপর একটি বাসের কন্ডাক্টর হৃদয় ও পলাতক পারভেজ হেলপার বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, রোববার রাত ১২টার দিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের বাস বাইপাইলে এসে বন্ধ করা হয়। পরে ওই বাসে হৃদয় ও পারভেজ ঘুমিয়ে ছিল। পাশেই বাবা রইচ উদ্দিনের চালানো বাসটিও বন্ধ ছিল। সেই বাসে ফেরদৌস ঘুমাচ্ছিল।

রাত ১টার দিকে হৃদয়ের ঘুম ভাঙলে সে পারভেজকে বলে তার পকেট থেকে টাকা চুরি হয়েছে। পরে পারভেজ ও হৃদয় মিলে ফেদৌসের কাছে যায়। তারা ফেরদৌসকে বলে সে টাকা চুরি করেছে। তখন ফেরদৌস বলে, সে টাকা চুরি করেনি। ফেরদৌসের পকেটে তার বাবার দেওয়া ১৫০ টাকা ছিল। সেই টাকা পারভেজ ও হৃদয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ফেরদৌস বাধা দেয়।

এ সময় লাঠি দিয়ে ফেরদৌসের মাথার পেছনে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সামিউল বলেন, চুরির অপবাদ দিয়ে ফেরদৌসকে হৃদয় ও পারভেজকে মারধর করে। এ ঘটনায় ফেরদৌস মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।

মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর