নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে তিনটি জামে মসজিদ। ভাঙনের কবলে মসজিদ তিনটি হলো পূর্ব চরমণ্ডলিয়া জামে মসজিদ, নাজিম উদ্দীন জামে মসজিদ ও আহম্মদিয়া জামে মসজিদ।

চরমণ্ডলিয়া গ্রামের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া নোয়াখালী নামক সরু খালটি লাগাতার ভাঙনের ফলে খাল এখন বিরাট নদীতে পরিণত হয়েছে। ফলে সম্প্রতি ভাঙনের ফলে ভিটেমাটি ছেড়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারগুলো।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙনের ফলে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে মেঘনাপারের খেটে খাওয়া মানুষ। নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় ভয় আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা। ধানশালিক ইউনিয়নের পূর্ব চরমণ্ডলিয়া জামে মসজিদটি নদীতে হেলে পড়েছে।

মসজিদটির কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ভাঙনের কবলে রয়েছে নাজিম উদ্দীন জামে মসজিদ ও আহম্মদিয়া জামে মসজিদ। যেকোনো মুহূর্তে মসজিদগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

পূর্ব চরমণ্ডলিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ আহমদ উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের মসজিদটির একটি অংশ নদীতে চলে গেছে। কিছু জিওব্যাগ ফেলে সাময়িকভাবে মসজিদের ভাঙন রক্ষার চেষ্টা চলছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত যেভাবে জোয়ার হচ্ছে তাতে মনে হয় না মসজিদটি রক্ষা করা যাবে। ইতোমধ্যে কিছু অংশ ফাটল ধরেছে।

পূর্ব চরমণ্ডলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রিয়াদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের গ্রামের মধ্যদিয়ে নোয়াখালী খালটি বয়ে গেছে। এই খালে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে এখন ভিটেমাটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মানুষ খুব অসহায় দিনাতিপাত করছে। আমাদের এই আসনের সংসদ সদস্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্যার যদি একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দিতেন তাহলে আমরা বসতভিটায় থাকতে পারতাম।

ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াকুব নবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েকদিনের জোয়ারে অনেক বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। আমি নদী ভাঙনের কথা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহোদয়কে জানিয়েছি। আর যে তিনটি মসজিদ ভাঙনের কবলে পড়েছে সেগুলো বিশেষ বরাদ্দে কাজ চলছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নেছার উদ্দিন বলেন, মসজিদগুলো রক্ষায় বিশেষ বরাদ্দে কাজ চলছে। আমরা ঠিকাদারকে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বারবার তাগিদ দিচ্ছি। আশাকরি যদি বাঁধ নির্মাণ করা যায় তাহলে মেঘনার ভাঙন থেকে ধানশালিক ইউনিয়নের মানুষের ফসলি জমি ও বসতভিটা রক্ষা করা যাবে।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর