চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক নারীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন তারই বড় ছেলে আব্বাস (৪৫)। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের খোরদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত জাহানারা বেগম ওই গ্রামের ঈদগাপাড়ার মৃত রবগুলের স্ত্রী। তার প্রথম ও দ্বিতীয়পক্ষের মোট ৯টি সন্তান রয়েছে। একমাত্র মেয়ে ছাড়া কোনো সন্তানই তার ভরণপোষণ দেন না। 

জাহানারা বেগমের দেবর আব্দুল মালেক বলেন, জাহানারা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝগড়া করেন বড় ছেলে আব্বাসের স্ত্রী রেখা খাতুন। শুক্রবার সকালে জমিজমা ও সাংসারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয় রেখার সঙ্গে। মাকে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি করতে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন আব্বাস। একপর্যায়ে বাঁশ দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা জাহানারা বেগমকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাহানারা বেগমের প্রথম ও দ্বিতীয়পক্ষের ৯ সন্তান। তার মধ্যে একমাত্র একটা মেয়ে তার কিছুটা দেখাশোনা করেন। শুক্রবার সকালে সাংসারিক বিষয়ে আব্বাসের স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বৃদ্ধা জাহানারা বেগমের। এ সময় আব্বাস তার মাকে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায়। এ ঘটনার পর আব্বাস পলাতক রয়েছে। 

তিনি বলেন, এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আব্বাসকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত। জাহানারা বেগম বিধবা ভাতার আওতাভুক্ত বলেও জানান গিয়াস উদ্দিন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিল আর সালান বলেন, ওই বৃদ্ধার মাথায় গভীরভাবে ক্ষত হয়েছে। সেখানে চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। 

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিন উজ্জামান বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখনো কিছু শুনিনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আফজালুল হক/আরএআর