রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে রাতেও যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ফেরি সংকট, প্রয়োজনের তুলনায় ঘাট স্বল্পতা এবং বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের গাড়ির চাপে এখানে সবসময় যানজট লেগেই থাকছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় প্রায় ৭ কিলোমিটার যানজট দেখা গেছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের দুই লাইন জুড়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। এ ছাড়াও ঘাট এলাকায় চাপ কমাতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও ৩ কিলোমিটার অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে।

জানা গেছে, পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করে দেওয়া হলেও দীর্ঘ  সিরিয়ালে আটকে থাকা প্রতিটি অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে ফেরি পেতে এক থেকে দুই দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রীবাহী বাসগুলোর ফেরিতে উঠতে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে চালক ও সহকারীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাদের গোসল, খাওয়া-দাওয়া ও টয়লেটেরও সমস্যা হচ্ছে।

রাজবাড়ী জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তারক চন্দ্র পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আমরা যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। কাঁচামালের গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করে দিচ্ছি, অপচনশীল ট্রাকগুলোকে গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে দিচ্ছি। ঘাটে চাপ কমে গেলে এগুলোকে ছেড়ে দিচ্ছি। তবে ঘাট এলাকায় এখন দালালদের দৌরাত্ব নেই।

খোকসা থেকে আসা ট্রাক চালক মিরাজ শেখ বলেন, আমি গতকাল রাত ২টায় গোয়ালন্দ মোড়ে আসছি। আজ সারাদিন গোয়ালন্দ মোড়েই ছিলাম। সন্ধ্যার দিকে গোয়ালন্দ মোড় থেকে ছাড়া পাই। কিন্তু এখানো ঘাট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে আছি। সামনে মহাসড়কের দুই লাইন জুড়েই শত শত ট্রাক। কখন যে ফেরির দেখা পাই বলতে পারছি না। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলছে। যানজটে মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দৌলতদিয়াতে নতুন করে আরও পন্টুন বসানো হবে। ফেরি স্বল্পতাও  রয়েছে। ফেরি সংখ্যা বৃদ্ধি ও ঘাট সমস্যা সমাধান হলে দৌলতদিয়া প্রান্তে ভোগান্তি কমবে।

মীর সামসুজ্জামান/আরআই