অনন্তযাত্রায় স্বামী মোজাহার মণ্ডলের সঙ্গী হলেন জাহিদা বেগম। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বৃদ্ধ এই দম্পতি মারা গেছেন শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরের দিকে। তারা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের সোনাদহ এলাকার বাসিন্দা। শনিবার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন এই দম্পতি।

তিন ছেলে ও দুই মেয়ের জনক-জননী তারা। ৩০ বছর আগে একদিনেই মারা যান মোজাহার মণ্ডলের বাবা ও মা। ৩০ বছর পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে শোকাহত পরিবার। পরিবার জানাচ্ছে, শতবর্ষী মোজাহার মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। আর মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন তার স্ত্রী জাহিদা বেগম।

জানা যায়, শনিবার ‍দুপুরের দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে জাহিদা বেগমের মরদেহ পাওয়া যায়। স্বজনদের অজান্তে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুকুরে পড়ে যান। দুপুরের দিকে নিজ ঘরে মরদেহ পাওয়া যায় মোজাহার মণ্ডলের। তার মৃত্যুর বিষয়টি টেরই পায়নি পরিবার।

মোজাহার মণ্ডলের ছেলে জালাল উদ্দিন বলেন, ৭ বছর ধরে তার বাবা বার্ধক্যজনিক রোগে ভুগছিলেন। একেবারেই বিছানাগত ছিলেন তিনি। শনিবার ‍দুপুরবেলা বিছানায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

একঘরে বাবার সঙ্গে মাও থাকতেন। মা ৭ বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছিলেন। হঠাৎ দুপুরবেলা মা নিখোঁজ হন। পরে বাড়ির পাশের পুকুরে মায়ের মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

সোনাদহ গ্রামের বাসিন্দা বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সলিম উদ্দিন বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে এই বৃদ্ধ দম্পতি মারা গেছেন। কখন তারা মারা গেছেন স্বজনরা টেরই পাননি। ৩০ বছর আগে মোজাহার মণ্ডলের বাবা-মাও একদিনেই মারা ডান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই। ফলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর