আমরা সবাই ড্যানিশ কোম্পানিতে চাকরি করি। আজ সকালে সিলেটে কোম্পানির মিটিং ছিল। সেজন্য সকাল ৯টার ভেতর সিলেট পৌঁছানোর কথা ছিল। স্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস বন্ধ। কোম্পানির স্যার বলেছেন, আজ যদি সিলেট না যেতে পারি তাহলে আমরা যেন রিজাইন দিয়ে দেই।

শুধু শাওন নয়। তার সঙ্গে থাকা আরও তিনজনও বললেন একই কথা। সিলেট যেতে না পারলে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে আজ (০৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুই দিনব্যাপী সব ধরনের যাত্রী পরিবহন বন্ধ রেখেছে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি। এতে বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। সকাল থেকে সিলেট ও ঢাকাগামী কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। তবে বিভাগীয় শহর সিলেটে সিএনজি দিয়ে যেতে পারছেন যাত্রীরা। এছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।

জামালগঞ্জের বাসিন্দা মো. তুহিন বলেন, আমরা আগে থেকে জানতাম না আজ পরিবহন ধর্মঘট। জানলে একশ টাকা খরচ করে শহরে আসতাম না। এখন টাকা খরচের সঙ্গে বাড়তি ভোগান্তি যোগ হলো।

পরিবহন শ্রমিক মো. হুমায়ূন কবির বলেন, আমি পরিবহনে চাকরি করি। তেলের দাম বাড়ার কারণে মালিক ও শ্রমিক সংগঠন থেকে গাড়ি চালাতে নিষেধ করেছে। যতক্ষণ সমস্যা সমাধান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এতে আমরাও বিপাকে পড়েছি।

বাসচালক মো. আনোয়ার আলী বলেন, তেলের দাম বাড়ছে। আগের ভাড়ায় কীভাবে আমরা গাড়ি চালাব? তেলের দাম বাড়ার কারণে গাড়ির খরচও বাড়বে। সেজন্য আমরা আজ গাড়ি সড়কে নামাইনি।

সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া বলেন, হঠাৎ করেই ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে বিপাকে পড়েছি আমরা। এজন্য শুক্র ও শনিবার দুই দিন সুনামগঞ্জ থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

সাইদুর রহমান আসাদ/এসপি