সাতক্ষীরার আশাশুনি উপকূলের সীমান্ত এলাকায় নৌকায় জন্ম নেওয়া শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় পরিবারটিকে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা করা হয়।

২০২০ সালের ২০ মে আম্পানের পর উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে খোলপেটুয়া নদীর পানিতে ভাসছে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়ন। ইয়াসের পর এই মাত্রা আরও বেড়েছে। ১৫ দিন আগে নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায় ইয়াকুব আলীর।

এরপর থেকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিনারা খাতুনকে নিয়ে মাছ ধরা নৌকার ওপর বসবাস করছেন ইয়াকুব আলী। নৌকার ওপরেই মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিনারা খাতুন একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন।

ঘটনাটি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের দৃষ্টিতে আসার পর আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল হুসেইন খাঁনকে পরিবারটিকে সহায়তা করতে নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, আম্পানের পর থেকেই পানিতে ভাসছে প্রতাপনগর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ইয়াকুব আলীর বসবাস বন্যতলা এলাকায়। এটি শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। নৌকার ওপর সন্তানের জন্ম হচ্ছে। এই অঞ্চলের মানুষ খুব কষ্টে রয়েছে। টেকসই বাঁধ নির্মাণ ছাড়া মানুষদের রক্ষা সম্ভব নয়।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অসহায় পরিবারটিকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্যসামগ্রী সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়া তাদের যদি জমি থাকে তবে জমি আছে ঘর নেই প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তাকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। 

আকরামুল ইসলাম/এমএসআর