কেরোসিনও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশে একযোগে ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন মালিকরা। হবিগঞ্জের সাধারণ লোকজনের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে অফিসগামী যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থায় যাতায়াত করতে গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়া। ১৫০ টাকার ভাড়া দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা। রোববার (০৭ নভেম্বর) সকালে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে এ দৃশ্য দেখা যায়।

সকালে সরেজমিনে বাস টার্মিনালে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে বাসগুলো রাখা হয়েছে। বাসের হেলপার কন্ডাক্টরসহ শ্রমিকদের দেখা যায়নি। তবে সাধারণ লোকজন বিকল্প ব্যবস্থায় তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে বিভিন্ন পন্থ অবলম্বন করছেন। কেউ আবার ছোটখাটে যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।

বাস টার্মিনালের পাশে মাইক্রোবাসে করে যাত্রী বহন করছেন অনেকেই। হবিগঞ্জ থেকে সিলেট বাসের নিয়মিত ভাড়া দেড় শ টাকা। কিন্তু ধর্মঘটের অজুহাতে মাইক্রোবাসে করে যাত্রীদের নিকট থেকে ৫০০ টাকা করে আদায় করতে দেখা গেছে। অনেক যাত্রীই ৫ গুণ ভাড়া দিয়ে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

মাইক্রোবাসের চালক সবুজ মিয়া জানান, ধর্মঘটের কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে আমরা মাইক্রোবাসে করে যাত্রীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। হবিগঞ্জ থেকে সিলেটের ১০ জন যাত্রী হলে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাই। ভাড়া জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়।

মমিন মিয়া নামে এক যাত্রী জানান, বাস মালিকদের কাছে মানুষ এখন জিম্মি হয়ে পড়ছে। তাদের ন্যূনতম স্বার্থে আঘাত হলে ধর্মঘটের নামে দেশের মানুষকে ভোগান্তি করতে হচ্ছে। সরকার শক্ত হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সাধারণ মানুষের এত ভোগান্তি হতো না।

মোহাম্মদ নুর উদ্দিন/এমএসআর