দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। জেলায় দিন দিন তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। রোববার (০৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এর আগে শনিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, টানা ১৪ দিন এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, দিনে সূর্যের আলোর দেখা গেলেও বইতে থাকে হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কনকনে শীত ও কুয়াশা পড়ে। তবে দিন দিন এ জেলার তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় মানুষ গরম কাপড় পরা শুরু করেছে। 

কথা হয় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। হঠাৎ করে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় আমরা গরম কাপড়ের আশ্রয় নিয়েছি। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা বাড়ছে। 

তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকার বাসিন্দা আবু সালেক বলেন, পঞ্চগড়ে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ে বাংলাবান্ধায়। এতে করে দুর্ভোগে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। সময়মতো কাজে যেতে না পারায় আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমরা সারা দিন নদীতে ডুবে পাথর উত্তোলন করি। তাই শীত এলে আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়। তারপরও শীতকে উপেক্ষা করে কাজ করতে হচ্ছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবক্ষেণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, রোববার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় দিন দিন এ জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। 

রনি মিয়াজী/এসপি