ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রোড বাজারের খালপাড়া এলাকায় শনিবার (৬ নভেম্বর) রাতে চুল কেটে ও বিবস্ত্র করে এক তরুণীকে (২০) নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে খালপাড়ার নিজ বাসা থেকে আলম (৫২) নামে অভিযুক্ত একজনকে আটক করে পুলিশ।

নির্যাতিত কিশোরী ওই এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর মেয়ে। 

নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, শনিবার রাতে আলমসহ আরও ৭ জন নারী-পুরুষ মিলে ওই কিশোরীকে বাসায় ডেকে নেয়। পরে বিবস্ত্র করে তাকে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে কিশোরীর মাথার সব চুল কেটে দেয় অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী ওই তরুণী কান্না করে বার বার ছেড়ে দেবার আকুতি জানালেও কর্ণপাত করেনি তারা।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বিচার চেয়ে বলেন, আমি কোনো দোষ করিনি। আমাকে অযথা ধরে নিয়ে গিয়ে এভাবে মারধর করল। আমার কাপড় ছিঁড়ে চুল কেটে দিল। ওরা ওদের মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু একটা মেয়ের সাথে আরেকটা মেয়ের সম্পর্ক থাকাটা কীভাবে সম্ভব।

অভিযুক্ত আলম জানান, আমার মেয়ের সাথে ওই তরুণীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সে জন্য আমি মেয়ের বিয়ে দিতে পারছি না। তাই মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কিন্তু মেয়েটি সব অস্বীকার করে আমার ওপরে গরম দেখাতে থাকে। তাই আমার মেয়ে আর প্রতিবেশী মোবারক আলী মেয়েটিকে চর-থাপ্পড় দিয়ে চুল কেটে দিয়েছে।

একটা মেয়ের সাথে আরেকটা মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক থাকা কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই তরুণীকে মাঝে মাঝে জ্বীনে ধরে। 

বিষয়টিতে তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা সালাম বলেন, মেয়েটির বাবা নেই। মা-মেয়ে কাজ করে খায়। এভাবে অদ্ভুত একটা দায় চাপিয়ে মেয়েটিকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।

ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পরেই আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। সেখান থেকে একজনকে পাওয়া গেলেও বাকিরা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মেয়ের মা বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আরআই