মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৩০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (০৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে প্রথম দফায় ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজিজুল ইসলামের নতুন বাড়ির সামনে ও দ্বিতীয় দফায় বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আজিজুল ইসলামের পুরাতন বাড়ি থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে ভূইছিদ্র এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব আজিজুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেনের লোকজন মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে আমার বাড়ির সামনে এসে আমার নারীদের নোংরা ভাষায় টিজ করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমার কর্মী অমিত ও অপুসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের আটটি মোটরসাইকেল আটক করে। আটক মোটরসাইকেল মালিকদের কারও বাড়ি শ্রীনগর নয়। তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে এলাকায় নিয়ে এসেছে। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরপরই তারা আবার আমার লোকজনের ওপর হামলা করে। হামলায় আমার কর্মী শাহাবুদ্দিন, স্বপন, মামুন, রফিক, সিয়াম, সবুজ মাদবর, সুলতান, বাবুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন ও রফিককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেনের ভাই জাকির হোসেন অভিযোগ করে জানান, তারা ওই এলাকায় প্রচারণায় গেলে তাদের ওপর আজিজুল ইসলামের লোকজন হামলা করে। এতে তাদের প্রায় ১৫-১৬ জন কর্মী আহত হয়। এ সময় আজিজুল ইসলামের ভাই ফাঁকা গুলি করে। দ্বিতীয় দফায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তারা নির্বাচনে সুবিধা নিতে নাটক সাজিয়েছে। তিনি সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের কর্মীদের ফেলে যাওয়া আটটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে তাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের দেখেছি। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। 

শ্রীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ বলেন, দুই পক্ষেরই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। 

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। এই ইউনিয়নের নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানান। 

ব.ম শামীম/এসপি