উত্তরাঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁও হিমালয়ের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় শীতের মাত্রা বেশি হয়। শীতের আগমনে ইতোমধ্যে জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠের পাশে গরম কাপড় বিক্রি শুরু করেছেন দোকানদাররা।

রাস্তার পাশে বসা সেই দোকানগুলোতে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। তারা নিজের পছন্দমতো কিনছেন শীতের পোশাক। শীতের পোশাক বিক্রি করা দোকানগুলোতে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে প্রকারভেদে ৩০০ টাকার পোশাক পাওয়া যায়। 

সদর উপজেলার পটুয়া গ্রাম থেকে শীতের পোশাক কিনতে আসা মাসুদ জানান, যদিও পুরো দমে শীত আসেনি, কিন্তু শহর থেকে গ্রাম অঞ্চলে শীত বেশি অনুভব করা যায়। তাই শীত নিবারণে পরিবারের সদস্যদের জন্য এখানে পোশাক কিনতে আসা। 

সমাজকর্মী হাসিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, হিমালয়ের পার্শ্ববর্তী জেলা হওয়ায় শীতের মাত্রা তুলনামূলক বেশি। এবারে শুরুতেই যে হারে শীতের মাত্রা অনুভব করা যাচ্ছে, গতবারের চেয়ে এবারে শীতের মাত্রা বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে।

সেচ্ছাসেবী সংগঠন প্যারেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মো. আশরাফুজ্জান সাগর বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও আমরা শীতে শীতবস্ত্র বিতরণ করব। তুলনামূলকভাবে আমাদের কিছু সীমান্ত এলাকা রয়েছে যেদিকে শীতের মাত্রা বেশি। তাই সকলের মানবতার পাশে দাঁড়ানো সময়ের দাবি।

পোশাক বিক্রেতা আব্দুল জলিল ঢাকা পোস্টকে জানান, এবারও শীতের পোশাক বিক্রি করছি। গতবারের চেয়ে এবার শীত বেশি হবে মনে হচ্ছে। গ্রামঞ্চল থেকে শীতের পোশাক কিনতে অনেক ক্রেতাই আসছেন। তবে এখনও পুরো পুরি শীত না আসায় ক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে শীতের পোশাক কিনতে পারছেন।

এমএসআর