শরীয়তপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে। ‘শাণিত কথন’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে অস্ত্র হাতে আটটি ছবি প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আসমা আক্তার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পালং মডেল থানার ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

পরে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাতে সিসি ক্যামেরার ছবি দেখে লাইসেন্স করা একটি শর্টগান জব্দ করে পালং মডেল থানার পুলিশ। এর আগে ওই দিন দুপুরে ইউনিয়নের তুলাতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরার ছবিতে দেখা যায়, সড়কে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক হেঁটে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যখানে এক যুবকের হাতে ধরা একটি শর্টগান।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসমা আক্তার ও তার সমর্থকদের দাবি, ওই যুবকরা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের কর্মী-সমর্থক।

আসমা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আনোয়ারের কর্মী-সমর্থকরা শর্টগান ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও তা আছে। তারা আমার কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি মামলা করব। এর আগেও আমার নির্বাচনী ক্লাব, মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ আমার লোকদের কুপিয়ে আহত করেছে। তখন আমি দুটি মামলা করেছি।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন শুরু আগে থেকেই আমি ঘরে বন্দি। মাঠে কাজ করতে পারি না। নৌকার লোকজন আমাকে মাঠে নামতে দিচ্ছে না। আমার লোক ঘর থেকে বের হচ্ছে না তাদের ভয়ে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফেসবুকে সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ছবিতে আমরা অস্ত্রের মহড়া দেখেছি। পরে আংগারিয়া এলাকার মামুন নামের এক ব্যক্তির লাইসেন্স করা শর্টগান জব্দ করেছি। অস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ