রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ১৪ উপজেলার ১০৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় ধাপে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একটানা ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

লাইন ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ভোটাররা। এরমধ্যে নারী ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে বেশি। শুরুর দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়ার প্রত্যাশা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

এনিয়ে এখনো কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪৩০ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ হাজার ২৭৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩ হাজার ৯৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন দফতর জানিয়েছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোরের ১৫, বগুড়ার শিবগঞ্জ ও শেরপুরের ২০, পাবনার সুজানগরের ১০, সিরাজগঞ্জের সদর ও রায়গঞ্জের ১৭, নওগাঁ সদর ও রাণীনগরের ২০,  নাটোর সদর ও বড়াইগ্রামের ১২, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ও ক্ষেতলালের ৭ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে।

এরমধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলার সদর, শিবগঞ্জ উপজেলার সদর, গোমস্তাপুর সদর, নওগাঁ সদরের বক্তারপুর এবং রাণীনগরের কাশিমপুর ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাকি ইউনিয়নগুলোতে ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ভোটাররা।

কেন্দ্রের নিরাপত্তা ছাড়াও মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বিভাগজুড়ে ৪১ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বপালন করছেন। এরমধ্যে রাজশাহীতে ৬, বগুড়ায় ৭, জয়পুরহাটে ৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩, নওগাঁয় ৭, নাটোরে ৫, সিরাজগঞ্জে ৬ এবং পাবনায় ৪ জন।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ধাপে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ৯টি এবং তানোরের ৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে গোদাগাড়ীতে চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন ৩২ জন প্রার্থী।

এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গোদাগাড়ীতে মোট ভোটার ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৯ জন। ভোটগ্রহণ হচ্ছে উপজেলার ৯৫ কেন্দ্রে।

অন্যদিকে, তানোরের ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৫ জন প্রার্থী। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৮ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২১৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। তানোরে ৫৯ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৭৯ জন ভোটার। আইনী জটিলতায় শেষ মুহূর্তে তানোরের সরনজাই ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

গোদাগাড়ীর ৩৫টি ও তানোরের ৪৩টিসহ ৭৮ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক ভোটকেন্দ্র ঘিরে থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা-ব্যবস্থা। কেন্দ্রে দায়িত্বপালন করবেন আনসার ও পুলিশ সদস্যরা। কেন্দ্রের বাইরে থাকবে র‌্যাব ও পুলিশের টাহল।

মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেও দায়িত্বপালন করবে আইনশৃংখলা বাহিনী। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বপালন করবেন। নির্বাচনে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর